বাংলাদেশ

এত জায়গায় সিভি জমা দিই, তবু কেন কেউ ইন্টারভিউতে ডাকে না

একের পর এক সিভি জমা দিচ্ছি, কিন্তু সাক্ষাৎকার বা নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ডাক আসছে না কেন, ভেবে হয়রান হন অনেকে। হয়তো সামান্য কিছু ভুলের কারণেই এ সুযোগ আপনি পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে কয়েকজন মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছিলাম আমরা।

হয়তো সামান্য কিছু ভুলের কারণে আপনি ইন্টারভিউতে ডাক পাচ্ছেন নাছবি: এআই/প্রথম আলো

কাঠামোগত ত্রুটি

অনেক চাকরিপ্রার্থী এমন একটি সিভি তৈরি করেন, যা হয়তো প্রাসঙ্গিক তথ্য বহন করে না। সিভির উদ্দেশ্য হলো, নিয়োগকর্তাকে প্রাথমিকভাবে আপনার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানানো। কিন্তু যদি সিভিটি এলোমেলো বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্যে ভরা থাকে, তাহলে সেটি অগ্রাহ্য হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। দীর্ঘদিন জ্বালানি ও ব্যাংকিং খাতে কর্মরত মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ লামিয়া বুশরা বলেন, ‘একটি পেশাদার ফরম্যাটে সিভি তৈরি করুন। ব্যক্তিগত তথ্য, সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ার লক্ষ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, পুরস্কার ও ভাষাজ্ঞান, পদ উপযোগী সব তথ্য একটি নির্দিষ্ট ছকে উপস্থাপন করুন। প্রাসঙ্গিক তথ্যপূর্ণ সিভিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।’

চাকরির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সিভি না সাজানো

অনেকেই সব চাকরির জন্য একই সিভি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু প্রতিটি চাকরির ধরন ভিন্ন, প্রয়োজন ভিন্ন। তাই সিভিও হওয়া উচিত নির্দিষ্ট পদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পদের বিবরণ (জব ডেসক্রিপশন) ভালোভাবে পড়ুন। সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাগুলোই সিভিতে গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করুন। যে চাকরিতে আবেদন করছেন, সেখানে কী ধরনের সমস্যা সমাধানে আপনার অভিজ্ঞতা ভূমিকা রাখবে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন।

ভুল বা অতিরঞ্জিত তথ্য

অনেক সময় চাকরি পাওয়ার লোভে প্রার্থীরা অতিরঞ্জিত বা ভুয়া তথ্য সিভিতে যোগ করেন, যা পরবর্তী ধাপে যাচাইয়ে ধরা পড়ে। এতে করে ভবিষ্যতে প্রার্থীর ওপর আস্থা নষ্ট হয়। মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষক রুবিনা খানের পরামর্শ, ‘আপনি যা পারেন, যেটুকু করেছেন—সেটুকুই বলুন। বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অর্জনগুলো সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরুন। পড়াশোনা বা চাকরিতে কোনো বিরতি থাকলে সিভিতে লিখুন। কোনো তথ্য দিতে অনিচ্ছুক হলে এড়িয়ে যান, কিন্তু মিথ্যা তথ্য দেবেন না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button