আন্তর্জাতিক

মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান হামাসের !!

গাজা থেকে সর্বশেষ জীবিত মার্কিন নাগরিক ইডান আলেকজান্ডারকে (২০) মুক্তি দিয়েছে হামাস। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘটনাকে ‘সদিচ্ছার একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন !

মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান হামাসের

 জীবিত মার্কিন নাগরিক ইডান আলেকজান্ডার , সংগৃহীত ছবি

 

সর্বশেষ জীবিত মার্কিন নাগরিক ইডান আলেকজান্ডারকে (২০) মুক্তি দিয়েছে হামাস। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘটনাকে ‘সদিচ্ছার একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, যা যুদ্ধ বন্ধের এবং বাকি সব জিম্মিকে মুক্ত করার পথে একটি অগ্রগতি বলে উল্লেখ করেন।

আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়ে হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের পর আমরা ইডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়েছি যেন একটি যুদ্ধবিরতি হয়, সীমান্ত খুলে যায় এবং আমাদের জনগণের জন্য ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছানো যায়।তারা আরো বলে, আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনকে আহ্বান জানাই যেন তারা এই নৃশংস যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।

ট্রাম্প সোমবার দুপুরে ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্ট দিয়ে আলেকজান্ডারের মুক্তির খবর জানান। তিনি লেখেন, শেষ জীবিত মার্কিন জিম্মি ইডান আলেকজান্ডার এখন মুক্ত। তার বাবা-মা, পরিবার ও বন্ধুদের অভিনন্দন।এর পূর্ববর্তী পোস্টে ট্রাম্প বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সদিচ্ছার একটি পদক্ষেপ এবং মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশরের প্রচেষ্টার একটি অংশ – যারা এই নিষ্ঠুর যুদ্ধ বন্ধ এবং সব জীবিত জিম্মি ও মৃতদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে।

আলেকজান্ডার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (আইডিএফ) কর্মরত ছিলেন। তাকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তার ঘাঁটি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর গাজায় ৫৮৪ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তার মুক্তি ইসরায়েলের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়াই হয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে কিছু সমন্বয় করেছে তারা।তার মুক্তির জন্য কোনো যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়নি। তবে ইসরায়েল দুপুর থেকে তাকে হস্তান্তরের জন্য যুদ্ধ স্থগিত রেখেছিল। আলেকজান্ডারকে মুক্তির সময় বেসামরিক পোশাকে দেখা যায়, মুখোশ পরা যোদ্ধারা তাকে রেড ক্রসের একজন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে ইসরায়েল সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তার পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষায় ছিলেন।এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।

তবে তিনি দাবি করেন, এটি সম্ভব হয়েছে ইসরায়েলি সামরিক চাপে এবং তার সরকারের কৌশলের কারণে।তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, এই সাফল্য এসেছে আমাদের সামরিক চাপ এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কূটনৈতিক চাপের সমন্বয়ে। এটি একটি সফল সংমিশ্রণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button