আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে সংশোধন এনে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর বিচার কার্যক্রম চলাকালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তটি ১০ মে ২০২৫ রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে গৃহীত হয়। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে সংশোধন এনে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর বিচার কার্যক্রম চলাকালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
নিষিদ্ধের কারণ ও প্রেক্ষাপট
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন: এই আইনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল এখন রাজনৈতিক দল, অঙ্গ সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
নিরাপত্তা ও সাক্ষীদের সুরক্ষা: আওয়ামী লীগের বিচার চলাকালে দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা, এবং ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সাইবার স্পেসসহ সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ: সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতিক্রিয়া
এই ঘোষণার পর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র ও জনতা উল্লাস প্রকাশ করেছেন ।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর দলটি সরকার গঠন করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।