রাজনীতি

পাহাড়িদের বাংলাদেশ থেকে আলাদা করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত-ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা : উত্তরণে রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পাহাড়িদের নিরাপত্তার নামে তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করতে উঠেপড়ে লেগেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র (ভারত) মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আদিবাসী, উপজাতি নামে বিভেদ এবং বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। ধর্ম-বর্ণ জাতি-গোষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আমাদের সকলের পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।

রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা : উত্তরণে রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ড. মাসুদ বলেন, শান্তি চুক্তির নামে শেখ হাসিনা পুরো দেশের জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেছে, বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। শান্তি চুক্তি করে খুনি শেখ হাসিনা মূলত নিজেকে শান্তির পক্ষের নেত্রী হিসেবে পরিচিত করতে চেয়েছে। গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা কখনো শান্তির পক্ষের নেত্রী হতে পারে না। হাসিনা এই শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্য বিস্তারের পথ তৈরি করে দিয়েছে।

পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা রাজনৈতিক নয়, ভৌগোলিক সমস্যা। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র, পার্বত্য অঞ্চলের জনসাধারণকে লেলিয়ে দিয়ে কখনো কখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে। আমাদের দেশের কোন অঞ্চলে আমাদের সেনাবাহিনী থাকবে, দায়িত্ব পালন করবে সেটা আমাদের বিষয়। কিন্তু ভারত কেন পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে উঠেপড়ে লেগেছে? – কারণ পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে পারলে সেখানে তারা মাতব্বরি করতে পারবে। ভারতের মাতব্বরি এদেশের জনগণ কখনো ভালো চোখে দেখে না, দেখবে না।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, শান্তি চুক্তি বাতিল করে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে উল্লেখ করে ড. মাসুদ অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংবিধান সংস্কারকালে শান্তি চুক্তি বাতিল করে এদেশের প্রত্যেক অঞ্চলের জনগণের এক ও অভিন্ন পরিচয় আমরা সবাই বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের মধ্যে জাতিগত বিভাজন কল্যাণকর হতে পারে না। এসব বিভাজন সৃষ্টি করে ভিনদেশীরা নিজেদের ফায়দা লুটতে চায়। তাই দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকদের সজাগ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি জাতিগত বিভাজনে বিশ্বাসী নয়। শান্তি চুক্তি বাতিলের দাবিতে তৎকালীন সময়ে রাজপথে আন্দোলন করেছে বিএনপি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মমিনুল আমিন, মজিবুর রহমান হামিদী, ডক্টর নিয়ামুল বাসির প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button