বাংলাদেশ

তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণে মামলাটি অবৈধ ছিল।

বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে রোববার (১ ডিসেম্বর ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, সাক্ষীরা ঘটনার বর্ণনা করছেন, কিন্তু কে গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছেন তা কোনো সাক্ষী বলেননি। এছাড়া ২১ আগস্টে কে গ্রেনেড সরবরাহ করেছে তা চার্জশিটে উল্লেখ করেননি কোনো তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা শুরু হয়।

গত ২৩ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল, প্রধান বিচারপতির দফতর থেকে হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। এরপর ৩১ অক্টোবর হাইকোর্টের এই বেঞ্চ মামলার শুনানি শুরু করে। গত ২১ নভেম্বর এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি গ্রহণ শেষ হয়।

এরপর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য সুনির্দিষ্ট দিন ধার্য না করে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের সাজার রায় বাতিল করে খালাস দেওয়ার আবেদন করেছেন।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলটির নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েকশো নেতাকর্মী। ওই হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুইটি মামলা হয়।

২০১৮ সালে বিচারিক আদালত মামলা দুটির রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।

মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালে এটি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে, কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুই মামলায় আলাদা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button