রাজধানীসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে আজ মধ্যরাত থেকে। যারা পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র জমা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যৌথ অভিযানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও র্যাব।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র্রে জানা গেছে, অস্ত্র দেওয়া সংক্রান্ত জারিকৃত নির্দেশনার মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুটপাট করা অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বৈধ অস্ত্রও। গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন।
মঙ্গলবার যৌথ বাহিনীর কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণের জন্য সমন্বয় সভাও করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি ঘটে। শেষ তিন দিন (শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা ছাড়ার আগে-পরে) থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়।