আন্তর্জাতিক

ইমাম খোমেইনীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে আলোচনা সভা

ইরানের ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেইনীর (রহ.) ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১ জুন) বিকেল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ কাওসার মুস্তাফা আবুল উলায়ী।

ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের প্রধান খতিব মাওলানা ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “ইমাম খোমেইনীর (রহ.) বিশ্বের সমসাময়িক ইতিহাসে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। ইরানে ইসলামী বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী হিসেবে নিজেকে পরিণত হয়েছেন। অনন্য রাজনৈতিক নেতা ইমাম খোমেইনী (রহ.) ছিলেন আধ্যাত্মিক মানবিকতার শ্রেষ্ঠ রূপকার।”
বক্তারা আরও বলেন, “বিশ্বজুড়ে আজ যেই দ্বিধাবিভক্তি আর ক্ষমতার অপব্যবহার চলছে, তার বিপরীতে ইসলামি সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে আঁকড়ে ধরে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র গড়ে তুলেছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। আর এর ভিত্তি রচিত হয়েছে ইমাম খোমেনীর মতো একজন দূরদর্শী, প্রজ্ঞাবান এবং ধার্মিক রাজনীতিবিদের কারণে। শুধু মুসলিম নয়, তিনি সকল নিপীড়িত জাতি ও মানবতার জন্য কাজ করেছেন বলেই ইরানের গণ্ডি ছাড়িয়ে আজ তিনি বিশ্বনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিপ্লবের প্রভাব আজ বিশ্বময়।”

বক্তারা বলেন, “ইমাম খোমেইনীর (র.) বহুমুখী প্রতিভা তাকে এমন এক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল যে, তিনি ইরানের ইসলামী বিপ্লবের মতো একটি মহান বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করার সক্ষমতা রাখতেন। তার এই অনন্য ভূমিকা সমসাময়িক ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দেয়। ইমাম খোমেইনীর (রহ.) আন্দোলন ও বিপ্লবের ফলে ইসলামের পুনরুজ্জীবন ঘটে এবং ইসলামী বিশ্বের মুসলমানরা ফিরে পায় তাদের সম্মান ও মর্যাদা। ফলে প্রকৃত ইসলামের ভিত্তিতে ইসলামী বিপ্লবের মতবাদ (ডকট্রিন) হিসেবে বিশ্বে একটি নতুন মতবাদের (ডকট্রিনের) উদ্ভব ঘটে। যা অমুসলিমদের জন্যও ছিল নতুন।”

অনুষ্ঠানে সম্প্রতি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যান্য যারা নিহত হয়েছেন তাদেরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। বক্তারা বলেন, “ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গীদের মৃত্যুর ঘটনায় দেশটির অপূরণীয় ক্ষতি হলেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতার যোগ্য নেতৃত্বে ইরান আগের মতোই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button