Uncategorized

দলীয় প্রার্থী নিয়ে কঠোর অবস্থানে বিএনপি

গতকাল বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলের আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। বিএনপি’র কোনো নেতা প্রার্থী হলে আগের মতোই দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের নেতাদের প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না বিএনপি। এক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দলটি। দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলের পদধারী নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে বারণ করেছে। যারা দলীয় আদেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর সরকারের অধীনে অন্য কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়া যৌক্তিক নয় এমনটিই মনে করছে দলটির হাইকমান্ড। দলের তৃণমূলের অনেক নেতা নির্বাচন করতে চাইছেন। এ ছাড়া জোট শরিক দলের নেতাদেরও কেউ কেউ নির্বাচন করতে চান। প্রথম ধাপের নির্বাচনে অনেকে প্রার্থীও হয়েছেন। নেতারা বলেছেন, বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় কোনো নির্বাচনেই যাবে না বিএনপি।
গতকাল বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলের আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। বিএনপি’র কোনো নেতা প্রার্থী হলে আগের মতোই দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

গতকাল বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলের আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। বিএনপি’র কোনো নেতা প্রার্থী হলে আগের মতোই দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল থেকে জানা গেছে, চার ধাপে ৪৮১টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ই মে। এসব উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমার দেয়ার শেষদিন ছিল ১৫ই এপ্রিল। এর আগে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। সে বার দেড় শতাধিক উপজেলায় বিএনপি’র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিল। এরপর ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পরেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোয় প্রথম দিকে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। ২০২১ সালে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।
এদিকে তৃণমূলের অনেক নেতা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। তারা দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। নির্বাচনে অংশ নেয়ার যুক্তি হিসেবে বিএনপি’র এক অংশ বলছেন, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকা ছাড়া নির্বাচন করছে। সেজন্য প্রতিটি উপজেলায় সরকার দলের একাধিক প্রার্থী থাকবে। সেক্ষেত্রে বিএনপি’র জনপ্রিয় নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হলে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। গত মার্চে জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ত্রিশালে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি’র দুই বহিষ্কৃত নেতা ফখরুজ্জামান মতিন ও আমিনুল ইসলাম সরকার।

ওদিকে প্রথম ধাপে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি গণেন্দ্র কুমার সরকার। তিনি মানবজমিনকে বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মী ও জনগণের অনুরোধে আামি প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবো। প্রথম ধাপে প্রার্থী হয়েছেন সরাইল উপজেলার বিএনপি’র দুই নেতা। তারা হলেন- উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু। নুরুজ্জামান লস্কর তপু মানবজমিনকে বলেন, এলাকার সাধারণ জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে। তারা আমাকে চায়। সেজন্য আমি প্রার্থী হয়েছি। দল থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে কি করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করছি, নির্বাচিত হওয়ার পর দল আমাকে পুনর্বিবেচনা করবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ওমরাও খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি মানবজমিনকে বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসীর চাওয়ায় আমি প্রার্থী হয়েছি। এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হলে ইনশাআল্লাহ আমি নির্বাচিত হবো।

মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও দুইবারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলও। তিনি মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি’র তৃণমূল পর্যায়ের সব নেতাকর্মী আমার সঙ্গে রয়েছে। এছাড়া এলাকায় আমার জনপ্রিয়তার ধারেকাছে কেউ নেই। নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button