সিরিয়ায় কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের কমান্ডারসহ সাত কর্মকর্তা নিহত
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলের হামলায় সাত কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইরান রেভ্যুলেশনারি গার্ডসের। নিহতদের মধ্যে এলিট ফোর্স কুদসের সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং তার সহযোগী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি-রহিমিও রয়েছেন।
সিরিয়ার ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলের হামলায় সাত কর্মকর্তা নিহত
সিরিএই হামলায় ইরানি দূতাবাসের পাশের একটি ভবন ধসে পড়েছে। ইরান ও সিরিয়া সরকার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তবে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, যে তারা বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর কোনো মন্তব্য করবে না।
যদিও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শতাধিক হামলার কথা স্বীকার করছে ইসরায়েলি বাহিনী। যেগুলো ইরানের রেভুলেশনারি গার্ড অস্ত্র, অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল বলে তাদের দাবি।
গত বছরের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলা জোরদার হয়েছে। একই সময়ে হেজবুল্লাহ এবং লেবানন ও সিরিয়ার অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোও ইসরায়েলের আন্তঃসীমানায় হামলা চালায়।
ইসরায়েলি এই হামলাটি ইরান ও তাদের মিত্রদের ওপর এক ধরনের চাপ বাড়ানোর জন্যই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনাটিকে ইরান ও হেজবুল্লাহ কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করছে ইসরায়েল। একই সাথে দেশটি দেখছে ইরান ও হেজবুল্লাহ তাদের অবস্থান থেকে সরে যায় কি না।
এই হামলার ঘটনার পাল্টা জবাব হতেও পারে, আবার নাও পারে। আবার ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে সামরিক হামলার বদলে সাইবার হামলার ঘটনাও ঘটতে পারে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় দামেস্কের পশ্চিম মেজেহ জেলার একটি হাইওয়েতে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনটিকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনাটি ঘটে। এতে কনস্যুলেট ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে। এমনকি ভবনের ভেতর যারা ছিলেন, তাদের সবাই আহত অথবা নিহত হয়েছেন।
হামলায় হতাহতদের নাম উল্লেখ না করে মন্ত্রণালয় বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ এবং আহতদের উদ্ধারের কাজ চলছে।