আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্যই বন্ধ হতে পারে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

চাকরি সংকট সৃষ্টিকারী শ্রমিকদের জন্য বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করতে পারে মালয়েশিয়া এবং এ কেলেঙ্কারিতে জড়িত বাংলাদেশি শ্রমিকদের তাড়াতে পারে মালয়েশিয়া বলে খবর দিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দেশটির অর্থমন্ত্রী রাফিজী রামলি বলেছেন, মালয়েশিয়া সামনের বছরগুলিতে স্বল্প-দক্ষ শ্রমিকেদের সংখ্যা কমিয়ে দেবে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করছেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমবাজার জুড়ে চাকরি সংকটের কেলেঙ্কারির জন্য অনান্য বিদেশি কর্মীদের মধ্যেও অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উল্লেখ্য মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উত্থানের জন্য আকাশচুম্বী ভবন এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে ১৯৮০ এর দশকে অভিবাসী শ্রমিক আনা হয়েছিল। কিন্তু তারা এখন দেখছেন দেশের ৩০ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে অনেকেই স্বল্প বেতনের প্রতিযোগি হিসাবে, বিশেষ করে বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার চাকরি নেওয়া সহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার জন্য সহজে বলির পাঁঠা হয়ে উঠেছে, যা তাদের জন্য এক ধরণের বিদেশাতঙ্ক অর্থাৎ বিদেশীদের সম্বন্ধে অহেতুক ভয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
গত সোমবার পার্লামেন্টের এক বক্তৃতায় দেশটির ফাইন্যান্স মিনিস্টার, রামলি বলেছেন, মালয়েশিয়া ২০২৬ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য এবং কঠোরতার সাথে হ্রাস করার জন্য একটি কার্যধারা নির্ধারণ করবে। তিনি আরো জোর দিয়ে বলেছেন, আমাদের দেশের স্বল্প-দক্ষ অভিবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা কমাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গত কয়েক মাসের দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ার চিত্রে দেখা গেছে শত শত বাংলাদেশি ওয়ার্কারদের মাথায় ব্যাগ, হাতে ব্যাগেজ নিয়ে মালয়েশিয়ার রাস্তায় স্লোগান দিতে। তাদের কাজ নেই, থাকার জায়গা নেই, কোম্পানির থেকে বের করে দিয়েছে।

এদিকে দেশটির হিউম্যান রাইটসগুলি অভিযোগ করেছে যে, হাজার হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীকে মিথ্যা অজুহাতে আনা হয়েছে। এখন তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে, এবং মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ উভয়ে দেশের মধ্যে অবৈধ টাকা লেনদেনের কথা বলছে। বলছে কর্মীরা প্রতারিত হয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।

ডিসেম্বর থেকে, মালয়েশিয়ায় হাজার হাজার লাভজনক কাজের সুযোগের কথা বলে প্রলুব্ধকর রিপোর্ট করেছে শুধুমাত্র এখানে আসার পরেই চাকরি দেবে কিন্তু এখানে এসে দেখে যে সেই প্রতিশ্রুত চাকরি নেই।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারীর একটি রিপোর্টে উঠে আসে, কুয়ালালামপুরের একটি পরিত্যক্ত দোকানঘর থেকে ৯৩ জন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক উদ্ধার হয়েছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন বলেছেন যে, সরকার ব্যবস্থার অপব্যবহার রোধ করতে কর্মসংস্থান সংস্থাগুলির কার্যক্রম বন্ধ করেছে, তিনি আরো যোগ করে বলেন, যে কোম্পনিগুলোর কর্মীদের প্রয়োজন তাদের এখন সরাসরি অভিবাসন কোম্পানিগুলোর সাথে লেনদেন করা উচিত।

বল এখন বাংলাদেশি শ্রমিকদের কোর্টে, তারা শর্ট করবে না কি দেশের জন্য শর্ট না করে দাঁড়িয়ে থাকবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button