বাংলাদেশ

এরশার পূত্রের আর্তনাদ, মানবতার জননী আমাকে বাঁচান

সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর ছেলে এরিক এরশাদ নিজ কোম্পানি থেকে বিতাড়িত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বলেন; মানবতার জননী আমাকে বাঁচান

গত ৮ ই মার্চ এরিক এরশাদ তার জন্মদিনে মানবতার জননী (Mother of Humanity) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাকে বাঁচানোর এ আর্তনাদ  জানান। এরিক বলেন, আমার বাবা প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি যেন খেয়ে পড়ে ভালোভাবে জীবন বাঁচাতে পারি তার জন্য  “এরশাদ ট্রাস্ট” গঠন করেছিলেন। খুবই দুঃখের বিষয় এই যে ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য বিগত সময়ে দায়িত্বরত ছিলেন জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ। আমার বাবার মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে আমি আমার প্রাপ্য সুবিধার থেকে বঞ্চিত হতে থাকি। মানুন গংদের কমিটি তিন থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটির সাতজন নিয়ে করা হয়। কমিটির মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হলেও কাজী মামুন ও তার গং আমাকে কোন টাকা পয়সা দিচ্ছে না এমনকি টাকা পয়সার কোন হিসাব বুঝিয়ে দিচ্ছে না।

আমি তাদের সাথে কোনভাবেই পেরে উঠছি না। কদিন আগে আমি আমার মাকে নিয়ে রংপুর বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলাম। কবর জিয়ারত শেষে এরশাদ ট্রাস্টের কোল স্টোরেজ পরিদর্শনে মাকে সাথে নিয়ে যাই। যেখানে মামুন গংয়ের লোকজন আমাদের ঢুকতে দেয়নি। তারা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে লাঞ্ছিত করে। এ বিষয়ে আমি রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করি। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। কিন্তু আমি কিছুতেই আমার ট্রাস্টের অধিকার ফিরে পাচ্ছি না। টাকা পয়সার অভাবে আমি আজ মানবেতর জীবনযাপন করছি।

মননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি তো বিশেষ শিশুদের (special child) জন্য অনেক কিছু করেছেন। আপনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দেশ ও বিদেশে বিশেষ শিশুদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ আমি আপনার চোখের সামনে একটি সিন্ডিকেটের অন্যায় ও অবিচারের শিকার হয়ে সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে অসহায় এক জীবনযাপন করছি। আমার বাবা বেঁচে থাকতে আপনার দলকে সাপোর্ট করে দেশের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন।।আমি অসহায়। আমার মাও আজ অসহায়। আপনি মানবতার জননী (mother of humanity)।

আমার ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আজ আপনার সাহায্য ভিক্ষা চাইছি। আমাকে বাঁচান।

জনমত ডেস্ক

নিউজ পোর্টাল, ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button