বাংলাদেশ

চিনির দাম ১ টাকাও বাড়বে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় তিব্বত মোড়ের পূর্ব কলোনি বাজারের পাশে পলিটেকনিক মাঠে তিনি এ কথা বলেন।


রমজান মাস উপলক্ষে এদিন তিনি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দ্বিতীয় পর্বের পণ্য বিক্রির কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ, রেড সি ক্রাইসিস, বিভিন্ন কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আন্তর্জাতিক বাজার দাম অনেক বেড়ে যাওয়ার পরেও আমরা কিন্তু সাশ্রয়ী মূল্যে; তেলটা ১৬৩ টাকা করে মূল্য নির্ধারণ করেছি সাধারণের জন্য কিন্তু আমরা দিচ্ছি ১০০ টাকা করে। চিনির দামও প্রায় ১৪০ টাকার মতো নির্ধারণ করা আছে, প্রায় অর্ধেক দামে আমরা চিনিটাও দিচ্ছি। চালের দাম বাজারে ৫০ টাকার মতো আছে, সেটা আমরা ৩০ টাকায় দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ, যারা অর্থনীতির চাপের মধ্যে আছে—তাদের চাপটা একটু লাঘব করা। এক কোটি পরিবারকে আমরা পাঁচটা নিত্যপ্রয়োজনীয় দিয়ে দেবো, তখন কিন্তু বাজারে চাপটা কমবে। বাজারে চাহিদাটা কমবে, চাহিদা কমলে সাধারণ ভোক্তা কিন্তু সহজে বাজার থেকে কিনতে পারবে; দামটা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।’

গতকাল বুধবার প্রতি কেজি চিনির দাম ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করার পরে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এ ব্যাপারে ক্ষমা চেয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের নিজস্ব একটি ত্রুটি হয়েছে।’

চিনির কোনো সংকট হবে না—আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা আরও সাবধান থাকব, যাতে আমাদের এই ছোটখাটো ব্যাপারগুলো বড় আকারে না হয়। কয়েক দিন আগে চিনির একটি গুদামে আগুন লেগেছিল, আমরা সবগুলো মিলের সঙ্গে কথা বলেছি, আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন আমাদের চিনির যে পরিমাণ মজুত বিভিন্ন মিলে ও আমদানিকারকের কাছে আছে; চিনির কোনো সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

মিল মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো পেপারে (সংবাদপত্র) আমি দেখেছি, দুএক জায়গায় বাজারে কেউ (দাম) বাড়ানোর চেষ্টা করছে, কেউ যেন এ ধরনের অসাধু চেষ্টা না করে। মিল গেটের রেট এক টাকাও বাড়বে না রমজানের আগে।’

উৎপাদনকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই চাই না যে, পুলিশি নজরদারি করে বা ইনস্পেকশন। বাজার যদি নিজের গতিতে চলে এবং প্রতিযোগিতা যদি ঠিক মতো থাকে, তাহলে বাজারে ন্যায্য মূল্যে জিনিস পাওয়া যাবে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।

‘আমাদের হাতে সময় একটু কম ছিল। আপনারা জানেন, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, ১১ তারিখে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চতুর্থবারের মতো আমাদের সরকার গঠন করা হয়েছে, ১৪ তারিখ থেকে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের শত ইচ্ছা থাকার পরও সব ব্যবস্থাপনা যতটা শৃঙ্খলা নিয়ে করার কথা, ততটা পারিনি,’ যোগ করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button