দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে গেছে
প্রায় দুই মাস পর ৩১ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ালো দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বাজেট সহায়তার অর্থ ছাড় ও ঈদের আগে প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বগতি রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, সোমবার দিনশেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.১৫ বিলিয়ন ডলারে। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল যা ৩১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। এরপর ২১ জুন রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। অর্থাৎ, মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে রিজার্ভ ১ বিলিয়ন ডলারের মতো বেড়েছে।
এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) মার্চ ও এপ্রিলের আমদানি বিল বাবদ ১.১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে সরকার। এতে ৮ মে রিজার্ভ কমে ২৯.৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। তবে ১০ মে ঘুরে দাঁড়ায় রিজার্ভ, ওইদিন ৩০.৩৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। আগের দিনের ২৯.৭৮ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে যা ছিল লক্ষণীয় উন্নতি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার করে পায় বাংলাদেশ। এছাড়া, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) থেকে পায় আরও ১২৫ মিলিয়ন ডলার।
এছাড়া ঈদুল আজহার আগে চলতি মাসের প্রথম ২৫ দিনে রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে আসে ২০২০ মিলিয়ন ডলার। এসব কারণে রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। যদিও আইএমএফের হিসাবে এর থেকে বিভিন্ন তহবিলের অর্থ বাদ দিয়ে হিসাব করলে দেশের নিট রিজার্ভ ৬ বিলিয়ন ডলার কম হবে। ১ জুলাই থেকে আইএমএফের পদ্ধতি মেনেও রিজার্ভের হিসাব দেখাবে বাংলাদেশ।
এদিকে, আমদানি দায় মেটাতে প্রতিদিনই ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ১৩.৫৮ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সাধারণত সরকারের এলসির অর্থ পরিশোধ ও অত্যাবশ্যক পণ্য আমদানির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে।