বাংলাদেশ

ঈদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ডিএমপির নির্দেশনা

আসন্ন ঈদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপণি বিতান ও বাসাবাড়িতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপি এরই মধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কোরবানির পশুর হাটগুলোর ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকা মহানগরীর সব বিপণি-বিতান, প্রতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি সব লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”

নিরাপত্তা নির্দেশনার বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিগত ঈদুল ফিতরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিএমপি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এরই ধারবাহিকতায় এবারের ঈদেও বিভিন্ন নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপির জনবল স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশি টহল বাড়ানোসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের নেওয়া পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যদি নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি হয়, তাহলে পুলিশ ও ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে অনেক বেশি সফল হওয়া সম্ভব। এবারের ঈদে ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করার জন্য নগরবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

নিরাপত্তার জন্য নির্দেশনা হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিজস্ব প্রতিষ্ঠান, আবাসন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বিপণি বিতানগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার করা এবং যেকোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি পর্যবেক্ষণ করতে মার্কেট মালিক সমিতি অথবা ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন তদারকি কমিটি করে দায়িত্ব পালন করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিষ্ঠান, বিপণি বিতান এবং বাসা বাড়িতে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা, যাতে করে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে পারেন। সিসি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ধারণকৃত ভিডিও হার্ড ডিস্কে ঠিকমতো রেকর্ড হচ্ছে কিনা, তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

দায়িত্বরত গার্ড ও প্রতিষ্ঠানের কাছে নিকটস্থ থানা, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মোবাইল এবং ল্যান্ড ফোনের নম্বর রাখতে হবে, যাতে যেকোনো দুর্ঘটনা অথবা অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি হলে দ্রুত পুলিশকে জানানো যায়।

জনমত ডেস্ক

নিউজ পোর্টাল, ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button