যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কয়েক মাস ধরে কিছুটা বেকায়দায় রয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি বারবার বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে কথা বলে চলেছেন।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াশিংটন সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলবেন এমন আশায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
১২ জুন বারানসীতে জি২০ ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টার’ন সভায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি অন্য বাংলাদেশ-ভারত উভয়পক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ নিয়ে কথা বলেন।
মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কেউ বাধাগ্রস্ত হলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা দেওয়া হবে না। এরপরই মূলত দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা-দিল্লির কর্মকর্তাদের মাঝে যে আলাপ হয়েছে তাতে ঢাকার দিক থেকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি মুক্ত ও অগ্রগতিসম্পন্ন অবস্থা সৃষ্টিতে বাংলাদেশের গুরুত্বের কথা তুলে ধরা হয়। ঢাকার দিক থেকে এ-ও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাংলাদেশকে চীনের নিকটবর্তী হওয়ার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকট এবং সংগঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির দিক থেকে বেশ চাপে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তার প্রকাশ্যে সমালোচনা করছে বাংলাদেশ।
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণায় তার সরকারের কিছু যায় আসে না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশ সরকার চায়, বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ যেন যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে।