বাফুফের অর্থের সব উৎস জানতে চান ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রী

১৪টি টুর্নামেন্টের জন্য বাফুফে বাজেট ধরেছে ৭ কোটি টাকা। ফিফা ও এএফসি থেকে তারা পাবে ৩ কোটি টাকা। ঘাটতি ৪ কোটি। সেই ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্তটি শনিবার নির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে নেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে সেই বাজেট এখনও পাঠায়নি দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে সংবাদ মাধ্যমের সুবাদে বাজেটের খবরটি পৌঁছে গেছে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কাছে। নতুন অর্থবছরে বাজেট পাস হওয়ার পর নতুন করে বাফুফের এ বাজেটটি ভালোভাবে নেননি তিনি।
সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গেই বাফুফের সমালোচনা করেন রাসেল, “তারা শুধু আমাদের কাছে চান। ফিফা-এএফসি থেকে কত পান, সেই টাকা কী করেন, তা কিন্তু আমাদের জানান না। আমাদেরও একটু জানানো উচিত।”
বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটিতে এমন অনেকেই আছেন, যারা চাইলে ব্যক্তিগতভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারেন। আবার স্পন্সর এনে দেয়ার সামর্থ্যও আছে তাদের। কিন্তু কমিটিতে থেকেও সেই চেষ্টা আগে না করে মন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চাওয়াটা ভালোভাবে নেননি জাহিদ আহসান রাসেল।
তিনি বলেন, “তাদের আরও একটু আন্তরিকতা দরকার ছিল। স্পন্সর খুঁজে এরপর আমাদের কাছে চাইতে পারত। যদিও এর আগে তারা আমাদের কাছে এভাবে কখনও চায়নি। বাফুফের চিঠি পেলে আমরা গুরুত্বসহকারে দেখব। যেহেতু আমাদের খাতভিত্তিক বরাদ্দ হয়। এরপরও চেষ্টা করব যেটা খুব জরুরি, সেখানে কিছু দেয়ার।”
তিনি আরও বলেন, “বাজেট পাস হওয়ার পর সরকারের কাছে অর্থ চাওয়াটা বাফুফের পরিকল্পনার অভাব। তারা যদি এটি এক মাস আগে চাইত, তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। তখন আমরা এটা মন্ত্রণালয়ের বাজেটের অংশ হিসেবে ঢুকিয়ে দিতে পারতাম। অন্য অনেক ফেডারেশনই বাজেটের আগে আগামী বছরের চাহিদা দিয়ে থাকে।”
ফুটবলের উন্নয়নে ৫৮৭ কোটি টাকার প্রকল্প বানিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল বাফুফে। তাদের সেই প্রকল্প পাস করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর ফুটবল ফেডারেশন বড় নাটক সাজায়। অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে গত মার্চে মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইপর্বে খেলতে বাংলাদেশ নারী দলকে পাঠায়নি তারা।
এটা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে দরপত্রে অনিয়ম ও জালিয়াতির কারণে বাফুফের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। তাই সরকারের কাছে বাফুফে নতুন করে ৪ কোটি টাকার অর্থ চাওয়ায় সমালোচনা হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে।