যত্রতত্র সিগারেট খাওয়া যাবে না: সেতুমন্ত্রী

যত্রতত্র সিগারেট খাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন সিক্স আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালুর বিষয়ে ব্রান্ডিং সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা ফেলা যাবে না, যত্রতত্র সিগারেট খাওয়া যাবে না। স্পট ঠিক করে দিতে হবে। ঢাকার চারপাশে ইটের ভাটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থে এগুলো করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অক্টোবরে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি নেতারা কি জানেন, তাদের দলের অনেকে নির্বাচনের জন্য তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছে? নির্বাচনে অংশ নিতে অনেক দল প্রস্তুত আছে।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি অংশ নেবে না বলে অন্যরা বয়কট করবে, এ কথা মনে করলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।”বিএনপির কাছে একটা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পরাজিত হয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। সাম্প্রতিক সিটি নির্বাচনে গাজীপুরে ৫০ %, বরিশাল ও খুলনায় ৪০- ৪৫ % ভোট পড়েছে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ৩০ % ভোটার উপস্থিতিও হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি ২০১৩/১৪ সালের পরিকল্পনা আবার করছে। আগুন সন্ত্রাস, ভাংচুর করার পরিকল্পনা করছে। জাতিসংঘে গিয়ে মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে তৃতীয় সারির লোকেদের সাথে কথা বলে এসেছেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি নেতারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমেরিকার দূতাবাসে যায় নালিশ করতে। আওয়ামী লীগ দাওয়াত পেয়েই দূতাবাসে যায়। দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করব এ রাজনীতি আমরা করি না।”
জো বাইডেন-মোদি বৈঠকের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “আমরা কারও দিকে তাকিয়ে নেই। আমরা তাকিয়ে আছি বাংলাদেশের জনগণের দিকে। বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করাতে পারে না। তারা উন্নয়ন সহযোগী হতে পারে। ক্ষমতায় বসাবে এমন উদ্ভট চিন্তা করি না।”
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুছি তোমোহাইড ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার শরফুদ্দীন আহমেদ।