বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছি: পুতিন

বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুতিন বলেন, “আমাদের মিত্র দেশ বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের জন্য (বেলারুশের) প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছিল। আমরা বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রথম চালান পাঠিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “আশা করছি, এই গ্রীষ্ম বা চলতি বছরের শেষ নাগাদ পরিকল্পনা অনুযায়ী সব অস্ত্র আমরা মোতায়েন করতে পারব। রাশিয়ার ভূখণ্ড কিংবা রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়লেই কেবল এ অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সতর্কবার্তা দিতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই প্রথম বাইরের কোনো দেশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করল মস্কো। রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জোট সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন শুরু হয়েছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে।
মার্চে বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। সেই সময় মস্কো বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র এমন অস্ত্র কয়েক দশক ধরে ইউরোপে মোতায়েন করে রেখেছে। যদিও রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা যখন তুঙ্গে, সে সময়েই বেলারুশে এই কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের খবর পাওয়া গেল। এর আগে বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো।
বৃহস্পতিবার বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেলতা ওই ভিডিওটি তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করে। এতে দেখা যায়, লুকাশেঙ্কো বলছেন, ‘রাশিয়ার কাছ থেকে আমরা বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছি। এগুলো হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে নিক্ষেপ করা পারমাণবিক বোমার চেয়ে তিনগুণ শক্তিশালী।’ সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স