রাজনীতি

নির্বাচনে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ চাই না: সেতুমন্ত্রী

নির্বাচনে বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপও চাই না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, “হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এজন্য তারা টাকা-পয়সা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এত টাকা তারা কোথায় পায়? কারও ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞায় এ দেশের নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। আমরা কারও ওপর হস্তক্ষেপ করি না, আমাদের নির্বাচনে বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপও চাই না। নিয়ম-কানুন মেনেই আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপির নিজেদের দলের ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই। বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের নেতাকর্মীরা প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কথাও তারা শোনেনি। এখন তিনি যতই রক্তচক্ষু দেখান, তাদের অনেক নেতা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে জায়গায় জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছেন।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান থাকবেন। নির্বাচনের আগে কোন দেশে সংসদ বিলুপ্ত হয়? বাংলাদেশে কেন হবে? নির্বাচন শেষে সংসদ ভাঙবে। দেশের সংবিধানে যেভাবে আছে, সেভাবে চলব আমরা। কারও পরামর্শে চলব না। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচন হবে। বিদেশিরা পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেন, দেখতে পারেন কেমন নির্বাচন হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের ওপর দেশের মানুষ আস্থাশীল। সেই নির্বাচন নিয়ে মানুষ বিএনপির কথায় বিভ্রান্ত হবে না। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন এ দেশে হবেই। বিএনপি এখন বেসামাল হয়ে পদযাত্রায় নেমেছে। এই পদযাত্রা শেষ পর্যন্ত তাদের পতন যাত্রায় রূপ নেবে। বিএনপির আর কোনো পথ নেই। তাই আন্দোলনের নামে তারা আবারও ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস শুরু করেছে। যে হাতে আগুন দেবে, সে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে।”

সেতুমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন গিলে খেয়েছে। ভোট চুরি করেছে, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করিয়েছে। এরা আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশ গিলে খাবে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে গিলে খাবে। তাই বিএনপি নামের অপশক্তি, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশের দায়িত্ব, নিরাপত্তা এবং ক্ষমতা আমরা ছেড়ে দিতে পারি না। তাদের হাতে দেশ কখনোই নিরাপদ নয়।”

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

জনমত ডেস্ক

নিউজ পোর্টাল, ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button