ফারুকের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে
চলচ্চিত্র অভিনেতা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে ফারুকের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে পৌঁছায়। সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
ফারুকের মেয়ে ফারিয়া তাবাসসুম পাঠান তুলসী বলেন, “জানাজার নামাজের বিষয়ে এখনও পারিবারিক কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। তবে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমালিয়া ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বাবাকে।”
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ বলেন, “ফারুক ভাইয়ের মরদেহ বিমানবন্দর থেকে সকাল ১১টায় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে, সেখান থেকে মরদেহ আনা হবে এফডিসিতে। বাদ জোহর এখানে জানাজার নামাজ শেষে দ্বিতীয় জানাযা হবে গুলশান আজাদ মসজিদে। এরপর তার জন্মস্থান কালীগঞ্জে নেওয়া হবে মরদেহ। সেখানে জানাযা নামাজ শেষে মরদেহ দাফন করা হবে।”
সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস। দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ফারুক। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান তিনি।
সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অভিনয় করেন বহু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে। ‘মিয়াভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন এই নন্দিত চিত্রনায়ক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।