ইউক্রেনের খেরসন শহর এবং এর আশপাশের এলাকায় রুশ গোলাবর্ষণে বেসামরিক ২১ নাগরিক নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছে। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বুধবার খেরসন শহর ও এর আশপাশের এলাকায় এই হামলা চালায় রাশিয়া। হামলায় যেসব স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয় তার মধ্যে হাইপারমার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন ও ক্রসিং, পেট্রল স্টেশন এবং আবাসিক ভবন রয়েছে।
হতাহতের বিষয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “সব বেসামরিক নাগরিক! দিন এখনো শেষ হয়নি! এক অঞ্চলেই এত হতাহত!’
এর আগে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, রুশ হামলায় খেরসনে ১২ জন নিহত হয়েছে। মূলত হামলার পর সেখানকার একটি হাইপারমার্কেটে আগুন লেগে যায়। ঘটনার সময় বহু মানুষ সেখানে তাদের কেনাকাটা করছিল। এছাড়া একটি রেলস্টেশনে গোলাবর্ষণে প্রাণহানি হয়।
রাশিয়ার দখলে থাকা খেরসন অঞ্চলের এলাকা থেকে চালানো হামলায় মূল শহরের বাইরের গ্রামে তিন প্রকৌশলীসহ চারজন নিহত হয়েছে। হামলার সময় তারা আগের রুশ হামলায় পাওয়ার গ্রিডের ক্ষতি মেরামত করার চেষ্টা করছিলেন।
ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি বলেন, “যখন শত্রুরা যুদ্ধক্ষেত্রে কিছুই অর্জন করতে পারে না, তখন তারা শান্তিপূর্ণ শহরগুলোতে হামলা চালায়।”
রাশিয়া সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছিল তার মধ্যে একটি হচ্ছে খেরসন। অবশ্য খেরসনে বুধবারের এই হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।
তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করা রাশিয়া বরাবরই ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে দেশ দুটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। সূত্র: রয়টার্স
