ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনায় এগোচ্ছে চীন
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে চান বলে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে পৃথক ফোন কলে কথা বলেন এবং সে সময়ই শান্তি আলোচনা নিয়ে এ কথা বলেন।
আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীন অবস্থান পোক্ত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যেই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংকট নিরসনে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা এলো।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে সোমবার ফোনে কিন শান্তি আলোচনা ফের শুরু করার বিষয়ে উৎসাহিত করেছেন এবং বলেছেন, চীন এর জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে কিন ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকিকে বলেছেন, বেইজিং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনা ফের শুরু করাকে সমর্থন করে। উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোন কলে ‘দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান’ বাস্তবায়নের ভিত্তিতে শান্তি আলোচনার জন্য চীনের আগ্রহের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং জোর দিয়েছেন।
এদিকে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানকে তেহরানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। মূলত মধ্যপ্রাচ্যের চিরবৈরী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বরফ গলানোয় সরাসরি অবদান রেখেছে চীন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন সৌদি বাদশাহকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানাল তেহরান।
মঙ্গলবার ইরানের জাতীয় সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট রাইসি বলেন, “ইসরায়েল যদি ইরানের বিরুদ্ধে সামান্যতম কোনো ভুল পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তেল আবিব ও হাইফা নগরীকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে।” সূত্র: এএফপি ও সিনহুয়া