হিজাব নিয়ে আরও কঠোর হচ্ছে ইরান

নারীদের হিজাব ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করলে ফৌজদারি আদালতে তার বিচার হবে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রাখা হবে না। বিবৃতিতে শনিবার এ কথা জানিয়েছেন ইরানের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আলি জামাদি।
আলি জামাদি এমন সময় এ হুঁশিয়ারি দিলেন যখন ইরানে দিনে দিনে নারীদের মধ্যে হিজাব ছাড়াই বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শপিং মল, রেস্তোরাঁ, দোকান, রাস্তা ও অন্য পাবলিক এরিয়াগুলোতে হিজাব ছাড়া অসংখ্য নারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে।
ইরানের নারী অধিকারকর্মী ও তারকারা কয়েকদিন ধরে হিজাব ছাড়াই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করছে। এর মাধ্যমে মূলত হিজাব না পরতে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করছে তারা।
তাদের আকারে-ইঙ্গিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জামাদি বলেন, “হিজাব খুলে ফেলতে উদ্বুদ্ধ করার অপরাধের বিচার করা হবে অপরাধ আদালতে। এই আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে এবং এর বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না।”
হিজাব ছাড়া চলাফেরা করা নারীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে শনিবার বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে ক্যামেরা বসিয়েছে দেশটির পুলিশ। এমন পরিকল্পনার কথা গত সপ্তাহে এক ঘোষণাতে জানিয়েছিল পুলিশ।
ইরানে আগে থেকেই বাধ্যতামূলক ছিল হিজাব। তবে সম্প্রতি নারীরা বাধ্যতামূলক এই পোশাক নিয়ে আন্দোলনে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
জামাদি বলেন, “হিজাব না পরার চেয়ে হিজাববিরোধী প্রচার এবং হিজাব ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করার শাস্তি হবে অনেক বেশি। স্পষ্টতই এটি দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার মতো একটি বিষয়। তবে কোন কোন কার্যক্রম হিজাববিরোধী প্রচার হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। সূত্র: রয়টার্স