বিএনপিকে আর খেলতে দেওয়া হবে না: কাদের

বিএনপিকে বিভেদের রাজনীতি আর খেলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে কাদের এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মাধ্যমে বিভাজনের রাজনীতি করে। রাজনীতিতে বিভেদের এই খেলা বিএনপিকে আর খেলতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ সব অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করবে।”
তিনি আরও বলেন, “অন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য চিরাচরিত ভঙ্গিতে মিথ্যাচার করছে। বিএনপি কখনোই নিজেদের জনগণের আয়নায় দেখতে প্রস্তুত না।”
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এজন্য তারা সর্বদা জনমত যাচাইয়ের গণতান্ত্রিক পন্থা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। নির্বাচন আতঙ্ক থেকে তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করছে। জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়টি এ রকম রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিএনপির ক্ষেত্রেই মানায়।”
কাদের আরও বলেন, “আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই বোঝা যাবে কাদের জামানত থাকবে, কাদের থাকবে না। বিএনপির প্রতি আহ্বান থাকবে, নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ঐতিহাসিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে অসাম্প্রদায়িক নীতি ধারণ ও লালন পালন করে আসছে।”
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। আওয়ামী লীগ বিরোধী চিহ্নিত রাজনৈতিক শক্তিই এদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পরিচর্যা করে আসছে। যার গোড়াপত্তন হয়েছিল সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। বিএনপিই এদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “এরই ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি, বিএনপি ও তার দোসররা সর্বদা সুপরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশকে তারা সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতাবলম্বীদের জন্য বাস অযোগ্য করে তোলার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।