‘পুরনো শিক্ষা পাল্টে সরকার নতুন শিক্ষায় হাত দিয়েছে’
পুরনো শিক্ষা পাল্টে সরকার নতুন শিক্ষার বীজ বপণের কাজে হাত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। রাজধানীসহ দেশজুড়ে রোববার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এর উদ্বোধন করেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’।
মো. জাকির হোসেন বলেন, “চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার পুরনো ধারার শিক্ষার খোলনলচে পাল্টে এমন এক নতুন শিক্ষার বীজ বপণের কাজে হাত দিয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের কৌতূহল, জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, গবেষণা ও ভাবনার শক্তিকে জাগাবে ও নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরিতে উপযোগী করে তুলবে।”
উল্লেখ্য, করোনাকালীন দু’বছর বন্ধ থাকার পর আবারও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, “সরকার সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষক নিয়োগ, অনলাইনে বদলি, শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে ২ বছরে উন্নীতকরণ, নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, প্রাথমিক বৃত্তি প্রদানসহ প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধিকল্পে একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে।”
অনুষ্ঠানে ২০১৯ ও ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করা হয়। ২০১৯ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৯০ শিশুসহ ১১১ জন এবং ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৮৪ শিশুসহ ১০৫ জন। এছাড়া ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ৪২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সনদ দেওয়া হয়।
২০১৩-এর পদক নীতিমালা অনুযায়ী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী শিশুরা যথাক্রমে ২০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকাসহ একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট পায়। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা ২৫ হাজার টাকা, একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট পেয়েছেন।