সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ, নিহত ১৮

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে একটি ভবনে বিস্ফোরণ হয়। এতে এখন পর্যন্ত ১৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
বিস্ফোরণে আহত শতাধিক মানুষকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে ১৬টি মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা হলেন: কুমিল্লার মেঘনা থানার বাসিন্দা কাতার প্রবাসী মো. সুমন (২১), তিনি রাজধানীর ১ নম্বর সুরি টোলা বংশাল এলাকার পরিবারসহ থাকতেন।
বরিশাল জেলার কাজির হাট থানার চর সন্তোষপুর গ্রামের ইসহাক মৃধা (৩৫), তিনি ঢাকার নারায়ণগঞ্জের ঢাকেশ্বরী ২ নম্বর রোডে বসবাস করতেন ও ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। পশ্চিমপাড়া যাত্রাবাড়ির বাসিন্দা মুনসুর হোসেন (৪০)। ৯৭ লুৎফর রহমান লেন, আলু বাজারের বাসিন্দা মো. ইসমাইল (৪২)।
চাঁদপুর জেলার মতলব থানার পশ্চিম লালপুর গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন (২৩), তিনি বিবিএ ছাত্র ছিলেন। কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ চৈনকুটিয়া গ্রামের রাহাত (১৮)। ১১৫/৭/৫ ইসলাম বাগ, চক বাজার থানার মমিনুল ইসলাম। একই এলাকার নদী বেগম (৩৬)। জেলা মুন্সিগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর গ্রামের মাঈন উদ্দিন (৫০)।
৪৭ নং কে পি ঘোষ ষ্ট্রিট, বংশাল এলাকার নাজমুল হোসেন (২৫), তিনি আজাদ স্যানিটারি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। মানিকগঞ্জ সদরের চর বেউথা গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল হাসান বাবুল(৫৫)। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর। ১৮/১ আগামাসি লেন, বংশাল এলাকার আকুতি বেগম(৭০)।
মীর হাজারীবাগ যাত্রাবাড়ী এলাকার মো. ইদ্রিস মির(৬০)। যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইলের নুরুল ইসলাম ভূইয়া (৫৫) ও বংশাল থানার সিদ্দিক বাজার জাবেদ গলি এলাকার হৃদয় (২০), মো. সম্রাট (২২) ও মোহাম্মদ সিয়াম (২০)।
হতাহতদের খোঁজে অনেকেই ভিড় করছে হাসপাতালে। প্রিয়জনদের ছবি দেখিয়ে খোঁজার চেষ্টা করছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, “এ পর্যন্ত ১৮ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে প্রায় শতাধিক। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।”
বিস্ফোরণের পর উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।