‘আ.লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানে বৈধতা দেওয়া’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নির্বাচনে না যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগের বিএনপি সমর্থিত সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের দল সমর্থিত সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তারা এ মতামত তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাবেক ও বর্তমান ২১৫ চেয়ারম্যানের মধ্যে ৪০ জন বক্তব্য রাখেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মাহমুদুল হাসান, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ।
সভার শুরুতে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান উপস্থিত চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে বলেন, “চলমান কর্মসূচি কোন পর্যায়ে নিয়ে গেলে বর্তমান সরকারের অবসান ঘটাতে পারব সে বিষয়ে মতামত তুলে ধরবেন। তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে এ বিজয় সম্ভব। এজন্য আপনাদের যার যেখানে যেটুকু সক্ষমতা আছে তা প্রয়োগ করুন। সব বিভেদ ভুলে এক কাতারে আসতে হবে। তাহলেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।”
জনপ্রতিনিধিরা বলেন, দেশের প্রতিটি স্তরের নির্বাচন ব্যবস্থাই নষ্ট হয়ে গেছে। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ এমনকি মাদ্রাসার প্রতিনিধি নির্বাচনকেও সরকার প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে। দিনের ভোট রাতে দেওয়া শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়া মানে এটাকে বৈধতা দেওয়া।
গাজীপুর জেলার কয়েকজন বলেন, এখন দেশ বাঁচানোটাই আমাদের কাছে প্রধান টার্গেট। আর এজন্য এ সরকারকে আগে বিদায় করতে হবে। তা নাহলে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনগণও কষ্টে পড়বে। মানুষের সংসার চালানোটাও এখন কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে চলমান আন্দোলনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে এক দফায় নিয়ে যেতে হবে।
টাঙ্গাইলের একজন বলেন, আন্দোলনের পাশাপাশি কূটনৈতিকসহ অন্যান্য সেক্টরে দলকে আরও বেশি করে কাজ করতে হবে।
নরসিংদী জেলার এক নেতা বলেন, জেলার কোন্দল দ্রুত নিরাসন করা দরকার। দলের হাইকমান্ডকে এ দায়িত্ব নিতে হবে।
মতবিনিময় সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু। সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। ঢাকা বিভাগের সাবেক ও বর্তমান ২১৫ জন চেয়ারম্যান ছাড়াও জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।