গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহিদদের স্মরণ
গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহিদদের স্মরণের মাধ্যমে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছে বাঙালি জাতি। অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তারা ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, তিন বাহিনীর প্রধানরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পর্যায়ক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জাতীয় জদিুঘর, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিউজে), ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক ফোরাম, ইয়ুথ জার্নালিস্টস ফোরাম বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠন শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে।
এদিকে, শহিদদের প্রতি প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমবেত হয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল, কালো পোশাক ও ব্যাজ ধারণ করে শহিদ মিনারে আসছে। খালি পায়ে তারা শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। অমর একুশের গান বেজে চলেছে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে।
আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই শুরু হয় খালি পায়ে প্রভাতফেরি আর মুখে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’গান। সেই প্রভাতফেরি গিয়ে মিলিত হয় শহিদ মিনারের পাদদেশে।
বাঙালি জাতির জন্য এ দিবসটি চরম শোক ও বেদনার হলেও মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। সেই ত্যাগের স্বীকৃতি আজ জাতিসংঘের উদ্যোগে সারাবিশ্বে ভাষা শহিদদের স্মরণে দিবসটি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।