বাংলাদেশ

দেড় লাখের মধ্যে ৪০ হাজার ইভিএম ব্যবহার অযোগ্য

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংগ্রহে থাকা দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মধ্যে কাগজের বক্সে করে মাঠপর্যায়ে পাঠানো ৪০ থেকে ৪৫ হাজারটি কোনো না কোনোভাবে ত্রুটিপূর্ণ। ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমের সঠিক সংখ্যা জানে না কমিশন।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কত আসনে ইভিএমে ভোট হবে, তা জানা যাবে মার্চে। দেড়শো আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থাকলেও নতুন ২ লাখ মেশিন ক্রয় প্রকল্প সরকার অনুমোদন না করায় এবার স্বল্প পরিসরে ব্যবহারের কথা জানিয়েছে ইসি।

ইভিএম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, “দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৭০ হাজার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) সংরক্ষিত রয়েছে। ৮০ হাজারের মতো ইভিএম মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “এর মধ্যে কাগজের বক্সে মাঠে পাঠানো ইভিএমের পরিমাণ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার হবে। এগুলো সবকটিতেই কিছু রক্ষণাবেক্ষণ বা সাপোর্ট লাগবে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ হয়ে গেলে নির্বাচনে ব্যবহার উপযোগী হয়ে যাবে।”

সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, “আমরা মাঠপর্যায় থেকে নিয়ে এসে এগুলোকে হার্ড বক্সিং করে, প্লাস্টিকের বক্স করে, পুরো সেট করে সংসদ নির্বাচনে যদি ব্যবহার হয়, সেক্ষেত্রে যেভাবে এটা সেট থাকার কথা, সেভাবে সেট মিলিয়ে মাঠপর্যায়ে নিয়ে যাব।”

তিনি আরও বলেন, “কাগজের প্যাকেটে আর ইভিএম সংগ্রহ করা হবে না। ইভিএম প্রকিউরমেন্ট হয়েছিল একটি কন্ট্রোল ইউনিট ও দুটি ব্যালট ইউনিট হিসেবে। এরপরে ইভিএমগুলো বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যালট ইউনিট একটি, কোনো ক্ষেত্রে দুইটি, কোনো ক্ষেত্রে তিনটি, কোনো ক্ষেত্রে চারটাও প্রয়োজন হয়েছে।”

ইভিএম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বলেন, “এজন্য ইভিএম যেভাবে সেট করা ছিল, সেভাবে সেট করাও নেই। যে কারণে আমাদের সেট মেলানোটাও প্রয়োজন। এগুলো কেনার জন্য ডিপিপিতে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, সেভাবে সেব ইকুয়েপমেন্টসহ অরগানাইজড করছি।”

তিনি আরও বলেন, “ত্রুটিপূর্ণ ইভিএম ব্যবহার উপযোগী করতে কি পরিমাণ অর্থ লাগতে পারে তা আমরা হিসাব করিনি। আমাদের এখানে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ একটা বরাদ্দ আছে। এটা আমরা বিএমটিএফে পাঠাব। বিএমটিএফ এরটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে। রক্ষণাবেক্ষণ করার পরে ওরা অ্যাসেসমেন্ট করে আমাদেরকে হিসাবটা দেবে। তখন সেটি অনুযায়ী চুক্তি করে আমরা কার্যক্রমটি নেব।”

সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, “আমাদের দেড় লাখ ইভিএম আছে। আমরা চেষ্টা করছি কতগুলো ইভিএম রেডি করা যায়। এজন্য আমরা কিউসি করছি। এটি চলমান রয়েছে বিধায় নির্বাচন করার জন্য কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে সেটি এখনি বলা যাচ্ছে না। কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যবহারের চেষ্টা করব।”

তিনি আরও বলেন, “সব মিলিয়ে ৩৫ শতাংশ কোয়ালিটি চেকিং (কিউসি) করা বাকি আছে। বিএমটিএফ কাজটি করছে। এক্ষেত্রে আগামী মার্চের মধ্যে জানা যাবে সংসদ নির্বাচনে কতটি মেশিন ব্যবহারযোগ্য। এখন বলা সম্ভব নয়।”

জনমত ডেস্ক

নিউজ পোর্টাল, ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button