রাজনীতি

‘আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর থিউরি নিয়েছে সরকার’

সরকার আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর থিউরি নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাগরিক মঞ্চ নামের একটি সংগঠন এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর থিউরি নিয়েছে। আমাদের সবাইকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এগিয়ে আসতে হবে। দেশকে রক্ষা করতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে সংশোধনীতে চলবে না, বাতিল করে নতুন করে লিখতে হবে। আর মিথ্যা কথা ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকের ভুল নাকি ১০ বছর আগের। তাহলে আমার বলতে হয়, ১০ বছর আগে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর আপনি (শিক্ষামন্ত্রী) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তাহলে এই ভুল পাঠ্যপুস্তকে এলো কীভাবে? এজন্য কমিশন করে এই শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগসহ সরকার যে আগামী প্রজন্মকে নাস্তিকতা শেখাচ্ছে, সেজন্য এদের বিচার হওয়া উচিত। সরকার পাঠ্যপুস্তকের ভুল নিয়ে মানুষকে রামায়ণ বোঝাচ্ছে।”

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনের ভোট রাতে করেন, বিনা ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন। সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী জনসভায় অংশ নিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। এরই মধ্যে চারটি জনসভায় ভোট চেয়েছেন। এটা অন্যায়।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর অফিস ব্যবহার করে ভোট চাওয়ার জন্য আগামী দিনে শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ার মুখোমুখি হতে হবে, জেলে যেতে হবে।”

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনার পতনের মধ্যদিয়ে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্যদিয়ে তাদের অধীনে নির্বাচন হবে।”

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, “বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ করলে সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এরপরও মানুষ সভা-সমাবেশের আগের দিন পায়ে হেঁটে, সাঁতার কেটে সমাবেশস্থলে এসে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন।”

তিনি বলেন, “আর ক্ষমতাসীনরা সভা-সমাবেশে ট্রেন, বাস দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এই অনির্বাচিত সরকারের পতনে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করছে। সাধারণ মানুষ যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে সমাবেশে অংশগ্রহণ করছে।”

বুলু আরও বলেন, “নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির হাত থেকে মানুষ বাঁচতে চায়, সরকারের পরিত্রাণ চায়। চার লক্ষ কোটি টাকা আওয়ামী ঘরোনার লোকেরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। দুদক ও সরকার এই বিষয়ে কথা বলে না।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান ও নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী আহসান উল্লাহ শামীম, মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ও নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়ক মো. মাসুদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান ও নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়ক অধ্যাপক বজলুর রহমান আমিনী, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টির চেয়ারম্যান ও নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়ক মির্জা আজম প্রমুখ।

জনমত ডেস্ক

নিউজ পোর্টাল, ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button